![]() |
বেকিং সোডা, লেবুর রস, অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ও তুলসি পাতার ব্যবহার ঘামের দুর্গন্ধ রোধে কার্যকর |
ঘামের দুর্গন্ধ রোধে ৭টি প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়
ঘামের দুর্গন্ধ (Body Odor) একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনে অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করে। তবে কিছু ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যা ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। চলুন জেনে নেই সহজ কিছু উপায়।
১. বেকিং সোডা ব্যবহার করুন
বেকিং সোডা প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের অতিরিক্ত ঘাম শোষণ করে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। গোসলের আগে বগলের নিচে অল্প করে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
২. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত। একটি তুলায় ভিনেগার নিয়ে ঘামের জায়গায় ব্যবহার করুন। এটি দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।
৩. লেবুর রস
লেবুর অ্যাসিডিক গুণ ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। একটি কাটা লেবু বগলের নিচে ঘষুন ও ১০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
৪. নারকেল তেল ও টি ট্রি অয়েল
নারকেল তেলে কিছু ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করলে এটি প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্টের মতো কাজ করে ও দীর্ঘস্থায়ী সতেজতা দেয়।
৫. তুলসি পাতা
তুলসি পাতার অ্যান্টিসেপটিক গুণ ঘামের দুর্গন্ধ রোধে কার্যকর। তুলসি পাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৬. নিয়মিত পরিষ্কার পোশাক পরুন
ঘামের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ অপরিষ্কার পোশাক। তাই প্রতিদিন পরিষ্কার ও সুগন্ধিযুক্ত সাবানে ধোয়া কাপড় পরুন।
৭. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শরীরের টক্সিন বের করে দিতে পানি একটি বড় ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে ঘামের দুর্গন্ধ অনেকাংশে কমে যায়।
উপসংহার: ঘামের দুর্গন্ধ রোধে জীবনযাত্রায় কিছু সহজ পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক উপায় মেনে চললে আপনি সহজেই সতেজ ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে পারবেন। তবে সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Comments
Post a Comment