![]() |
আদা, হলুদ দুধ ও গরম সেঁক ব্যথা কমাতে কার্যকর |
শরীরের যেকোন ব্যথা কমাতে ৭টি ঘরোয়া টোটকা
শরীরের ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা ক্লান্তি, ভুল ভঙ্গিমা, ব্যায়াম বা অন্যান্য কারণে হতে পারে। ওষুধ ছাড়াও কিছু প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমে সহজেই ব্যথা কমানো যায়। এই পোস্টে জানুন ৭টি কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি যা শরীরের যেকোন ব্যথায় উপশম দিতে পারে।
১. আদা ও মধু চা
আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। গরম পানিতে আদা ও মধু মিশিয়ে চা বানিয়ে দিনে ২ বার পান করুন। এটি ব্যথা ও ফোলাভাব কমায়।
২. গরম পানি সেঁক
ব্যথার স্থানে হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে গরম সেঁক দিলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ব্যথা হ্রাস পায়। পিঠ, গলা বা কোমরের ব্যথায় এটি খুব উপকারী।
৩. হলুদ দুধ
১ গ্লাস গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে শরীরের ভিতর থেকে ব্যথা উপশম হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যথানাশক।
৪. ইউক্যালিপটাস তেল ম্যাসাজ
এই তেলে ব্যথানাশক ও স্নায়ু প্রশান্তিকারক উপাদান থাকে। ব্যথার জায়গায় ম্যাসাজ করুন।
৫. লবণ পানি দিয়ে গোসল
গরম পানিতে কিছুটা ইপসম লবণ মিশিয়ে গোসল করলে পেশির ক্লান্তি ও ব্যথা দূর হয়। এটি বিশেষ করে পা ও পিঠের ব্যথায় উপকারী।
৬. ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং
হালকা ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং করলে পেশি নমনীয় হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে ব্যথা কমে যায়। ব্যথা থাকলেও হালকা গতিময়তা বজায় রাখা ভালো।
৭. পর্যাপ্ত বিশ্রাম
ব্যথা কমাতে বিশ্রাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম শরীরকে সুস্থ করে তোলে ও ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
উপসংহার:
ওষুধ ছাড়াও ঘরে থাকা সাধারণ উপাদান দিয়ে ব্যথা কমানো সম্ভব। তবে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিয়মিত এই ঘরোয়া টোটকা মেনে চললে শরীর থাকবে সুস্থ ও স্বস্তিতে।
আরও পড়ুন: মাথাব্যথা থেকে মুক্তির ঘরোয়া প্রতিকার
Comments
Post a Comment